ব্লগার হিসেবে আমার ব্লগিং এর সূচনা প্রায় দু'বছর হতে চলল এবং সেটি সচলায়তন থেকেই শুরু। বলতে গেলে সচলায়তনে এসেই বিভিন্ন ব্লগারদের সাথে পরিচয় এবং সেই সাথে ভার্চুয়াল বন্ধুত্ত্ব। বিভিন্ন মূদ্রণ মাধ্যমে লেখালেখির সূচনাও বলতে গেলে ব্লগিং থেকেই। তাই ব্লগিং এর গুরুত্ত্ব আমার জীবনে অপরিসীম একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই ব্লগিং এর সাম্প্রতিক একটি ইস্যু যাকে বলা যেতে পারে 'ব্লগারদের স্বকীয়তা', নিয়েই আমার আজকের আলোচনা, আরো ভাল করে বলতে গেলে এই ইস্যুটি নিয়ে অন্যদের মতামত জানাটাই মূল উদ্দেশ্য। আমি দুটি অভিজ্ঞতার আলোকে এই পোষ্টের আলোচনা সীমিত রাখব, হয়ত এর বাইরে আরো অভিজ্ঞতা অন্যদের থাকতে পারে, আশা করি সেক্ষেত্রে তারা এই পোষ্টে তা জানাবেন।
অভিজ্ঞতা ১
বকলম নামে একটি বাংলা ব্লগ আছে। আমার এক অনুজপ্রতীম রিজভীর অনুরোধে আমি বকলম ব্লগে মাঝে মাঝে লিখি। সময়ের অভাবে নতুন কোন লেখা দিতে পারিনি, তবে আমার পূর্ব প্রকাশিত কিছু লেখা সেখানে রিপোষ্ট করতাম এবং সেটি 'সচল জাহিদ' নিকেই। হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করলাম সেখানে 'ষষ্ঠ পান্ডব' নিকে একজন ব্লগিং করছেন। স্বভাবতই আমার ধারনা হলো যে তিনি সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবই হয়ত হবেন। তার ব্লগে ঢুকে তার প্রকাশিত পোষ্টগুলি দেখে আমার মনে কিছুটা সন্দেহ উদয় হয়, কারন লেখাগুলির মান ও ধরণ কোনটাই সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবের নিজস্ব ঘরানার ছিলনা। আমি আরেকটু নিশ্চত হবার জন্য বিষয়টি সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবকে ফেইসবুকের মাধ্যমে জানাই। জবাবে ষষ্ঠ পান্ডব জানান সে নিশ্চিত ভাবে এই ব্যক্তি তিনি নন। পরবর্তীতে বকলমের সাথে যোগাযোগ করে 'ষষ্ঠ পান্ডব' নিকটি সচলায়তনের 'ষষ্ঠ পান্ডব' কতৃক সংরক্ষণ করা হয় এবং বকলমের ঐ ব্লগার নিজের নিক পরিবর্তন করে 'এক যে ছিল রাজপুত্তুর' নিকে লিখতে থাকেন।
এখানে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্যনীয়ঃ
প্রথমত, ষষ্ঠ পান্ডব নামটি কোন কপিরাইট নিবন্ধিত নাম নয় যে অন্য কেউ এই নিকে লিখলে সেটি দোষের হবে, তবে নিশ্চিত ভাবে এটি একধরনের অসৌজন্যতা যদি তিনি জেনে থাকেন যে এই নামে অন্য একজন লিখে থাকন অন্য ব্লগে। যদি তিনি একেবারেই না জেনে থাকেন তাহলে কোন দোষেই তিনি দুষ্ট নন।
দ্বিতীয়ত, একই নিকে একাধিক ব্লগার লিখলে পাঠক খানিকটা সমস্যায় পড়তে পারেন। আমি অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি অধিকাংশ পাঠক একাধিক ব্লগে যাতায়াত করেন যেমনটা করেন দৈনিক পত্রিকার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে একই পাঠক সচলায়তনে এসে ষষ্ঠ পান্ডবের লেখা পড়ে যখন বকলমে যাবেন তখন সেখানেও যদি ষষ্ঠ পান্ডব নামে কাউকে লিখতে দেখেন তার প্রাথমিক ধারনা হবে দুই জন একই ব্যাক্তি। যারা নিজের নামে লিখেন ( পিতৃদও পুরো নাম বা আংশিক নাম) তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তেমন প্রকট নয় কিন্তু যারা ছদ্মনামে লিখেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা যথেষ্ট প্রকট।
এই আলোকে আমার একটি মতামত ব্যক্ত করতে চাই তা হচ্ছে বাংলা ব্লগিং এ যতগুলো ব্লগ আছে তাদের সবাইকে নিয়ে একটি সাধারণ ব্লগার ডাটাবেজ করা যায় কিনা যা ব্লগারদের এই স্বকীয়তা রক্ষায় এগিয়ে আসবে। এখন যেমন একটি নির্দীষ্ট ব্লগে একই নামে আগে কেউ নিবন্ধিত হলে সেই নামে অন্য কেউ নিবন্ধিত হতে পারেননা, সেরকম ভাবে সব ব্লগগুলোর ব্লগারদের নিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একট সাধারন ডাটাবেজ থাকলে একই নিকে অন্য ব্লগেও কেউ নিবন্ধিত হয়ে থাকলে সেই নামে আর কেউ নিবন্ধিত হতে পারবেনা এরকম একটি এলগরিদম নিয়ে আসা যেতে পারে।
অভিজ্ঞতা ২
একজনের ব্লগ থেকে কপি করে অন্য ব্লগে অন্যজনের নামে তা প্রকাশ করা, বা মুদ্রণ মাধ্যমে প্রকাশ করা নতুন কিছু নয়। এই জঘন্য কাজটি অনেকেই করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে অনেকটা দায় পড়ে যে ব্লগে এই কপি করা লেখা পোষ্ট আকারে আসে সেই ব্লগের উপরে বা যে মূদ্রণ মাধ্যমে প্রকাশিত হইয় তার উপরে। যতদূর জানি সচলায়তন এক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানী, ফলে সচলায়তনে আমি অন্তত এই ধরনের প্রবনতা লক্ষ্য করিনি। যাই হোক, এই কপি করা পোষ্ট কিভাবে একজন ব্লগারের স্বকীয়তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে তার একটি উদাহরণ এখন দেইঃ
একদিন আমি নিজের নিক 'সচল জাহিদ' দিয়ে গুগুল সার্চ করছিলাম। নিজের পরিচিত বিভিন্ন পোষ্ট আর কমেন্টের ভীরে হঠাৎ করে 'সোনার বাংলাদেশ' নামক এক ব্লগের লিঙ্কে আমার নাম দেখে যথেষ্ট কৌতুহল হয়ে লিঙ্কটিতে যাই। লক্ষ্য করি যেখানে একটি মন্তব্যে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছেঃ
মন্তব্য পড়ে যেটা বোঝা গেল 'সুদীপ্ত সেন' নামে 'সোনার বাংলাদেশ' ব্লগে একজন ব্লগার 'বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১ ও ২' নামে দুটি ব্লগ লিখেছেন এবং উপরোক্ত মন্তব্যকারীর মতামত হচ্ছে হয় 'সুদীপ্ত সেন' লেখাগুলি আমার (সচল জাহিদ) সচলায়তনের পোষ্ট থেকে কপি করেছেন অথবা আমিই সুদীপ্ত সেন নামে 'সোনার বাংলাদেশ ব্লগে লিখি'। প্রথম সন্দেহটি আমার কাছে তেমন কোন গুরুত্ত্ব বহন করেনা, কিন্তু দ্বিতীয়টি করে কারন ইতিমধ্যে 'সোনার বাংলাদেশ ব্লগ' সম্পর্কে একটি সাম্যক ধারণ আমার হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা 'সচল জাহিদ' নিকে গত প্রায় দুই বছর ধরে ব্লগিং করে পাঠকের কাছে যে পরিচিতি আমার হয়েছে এই ধরনের ঘটনা তার প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে পারে।
আমি আরো আগ্রহী হয়ে সুদীপ্ত সেনের ব্লগে যেয়ে দেখলাম তিনি আমার সচলায়তনে প্রকাশিত 'ধর্ম রাজনীতি না মগজ ধোলাই' শিরোনামের একটি লেখা এবং তার মন্তব্য থেকে হুবুহু নকল করে দুটি পোষ্ট লিখেছেন। সুদীপ্ত সেনের পোষ্ট যার শিরোনাম "বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১" লেখাটির প্রথম প্যারাটি বাদে বাকী সব প্যারাগুলিই আমার উপরোক্ত পোষ্টের সর্বশেষ প্যারা থেকে হুবুহু নকল করা। তার আরেকটি পোষ্ট যার শিরোনাম "বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-২" লেখাটিরও প্রথম প্যারাটি বাদ দিয়ে বাকী সব প্যারাগুলিই আমার উপরোক্ত পোষ্টে ব্লগার "ষষ্ঠ পান্ডব" এর করা মন্তব্য ( মন্তব্য সিরিয়াল ১৩, নং ৩৫) থেকে হুবুহু নকল করা।
আমি বিষয়টি অনুধাবন করে সোনার বাংলাদেশ ব্লগের মডারেটর বরাবর (sonarbangladeshblog@yahoo.com) একটি ইমেইল করি ১২ ডিসেম্বর। ইমেইলটি নিচে দিলামঃ
ইমেইল করার ৬ দিন পর ( আরো ভাল করে বলতে গেলে এই লেখাটি সচলায়তনে পোষ্ট করার ১২ ঘন্টার মধ্যে ) অবশেষে সোনার বাংলাদেশ ব্লগ তার উত্তর দেয়ঃ
dear sir,
we requested mr sudipto to acknowldge/refer ur post
and also advised him not to copy any text from anywhere .
we warned mr sudipto for the first time to refrain from such activities othewise we will ban him in our blog
thank u for ur cooperation
may we take the change to invite u to join our blog pls
sorry for delayed reply
Best regards,
SB Blog Team
পরবর্তীতে সুদীপ্ত সেন তার ব্লগ আপডেট করেন। আপডেটের নমুনা দেখুনঃ
বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১ পোষ্টটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন 'বুয়েটে শিবির' আর নিচে লিখেছেন,
বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-২ পোষ্টটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন 'ইউকসু ও বুয়েট শিবির ' আর নিচে লিখেছেন,
আইডিয়া নেবার এই যদি ধরন হয় তাহলে কপি কি?
অভিজ্ঞতা ১
বকলম নামে একটি বাংলা ব্লগ আছে। আমার এক অনুজপ্রতীম রিজভীর অনুরোধে আমি বকলম ব্লগে মাঝে মাঝে লিখি। সময়ের অভাবে নতুন কোন লেখা দিতে পারিনি, তবে আমার পূর্ব প্রকাশিত কিছু লেখা সেখানে রিপোষ্ট করতাম এবং সেটি 'সচল জাহিদ' নিকেই। হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করলাম সেখানে 'ষষ্ঠ পান্ডব' নিকে একজন ব্লগিং করছেন। স্বভাবতই আমার ধারনা হলো যে তিনি সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবই হয়ত হবেন। তার ব্লগে ঢুকে তার প্রকাশিত পোষ্টগুলি দেখে আমার মনে কিছুটা সন্দেহ উদয় হয়, কারন লেখাগুলির মান ও ধরণ কোনটাই সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবের নিজস্ব ঘরানার ছিলনা। আমি আরেকটু নিশ্চত হবার জন্য বিষয়টি সচলায়তনের ষষ্ঠ পান্ডবকে ফেইসবুকের মাধ্যমে জানাই। জবাবে ষষ্ঠ পান্ডব জানান সে নিশ্চিত ভাবে এই ব্যক্তি তিনি নন। পরবর্তীতে বকলমের সাথে যোগাযোগ করে 'ষষ্ঠ পান্ডব' নিকটি সচলায়তনের 'ষষ্ঠ পান্ডব' কতৃক সংরক্ষণ করা হয় এবং বকলমের ঐ ব্লগার নিজের নিক পরিবর্তন করে 'এক যে ছিল রাজপুত্তুর' নিকে লিখতে থাকেন।
এখানে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্যনীয়ঃ
প্রথমত, ষষ্ঠ পান্ডব নামটি কোন কপিরাইট নিবন্ধিত নাম নয় যে অন্য কেউ এই নিকে লিখলে সেটি দোষের হবে, তবে নিশ্চিত ভাবে এটি একধরনের অসৌজন্যতা যদি তিনি জেনে থাকেন যে এই নামে অন্য একজন লিখে থাকন অন্য ব্লগে। যদি তিনি একেবারেই না জেনে থাকেন তাহলে কোন দোষেই তিনি দুষ্ট নন।
দ্বিতীয়ত, একই নিকে একাধিক ব্লগার লিখলে পাঠক খানিকটা সমস্যায় পড়তে পারেন। আমি অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি অধিকাংশ পাঠক একাধিক ব্লগে যাতায়াত করেন যেমনটা করেন দৈনিক পত্রিকার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে একই পাঠক সচলায়তনে এসে ষষ্ঠ পান্ডবের লেখা পড়ে যখন বকলমে যাবেন তখন সেখানেও যদি ষষ্ঠ পান্ডব নামে কাউকে লিখতে দেখেন তার প্রাথমিক ধারনা হবে দুই জন একই ব্যাক্তি। যারা নিজের নামে লিখেন ( পিতৃদও পুরো নাম বা আংশিক নাম) তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তেমন প্রকট নয় কিন্তু যারা ছদ্মনামে লিখেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা যথেষ্ট প্রকট।
এই আলোকে আমার একটি মতামত ব্যক্ত করতে চাই তা হচ্ছে বাংলা ব্লগিং এ যতগুলো ব্লগ আছে তাদের সবাইকে নিয়ে একটি সাধারণ ব্লগার ডাটাবেজ করা যায় কিনা যা ব্লগারদের এই স্বকীয়তা রক্ষায় এগিয়ে আসবে। এখন যেমন একটি নির্দীষ্ট ব্লগে একই নামে আগে কেউ নিবন্ধিত হলে সেই নামে অন্য কেউ নিবন্ধিত হতে পারেননা, সেরকম ভাবে সব ব্লগগুলোর ব্লগারদের নিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একট সাধারন ডাটাবেজ থাকলে একই নিকে অন্য ব্লগেও কেউ নিবন্ধিত হয়ে থাকলে সেই নামে আর কেউ নিবন্ধিত হতে পারবেনা এরকম একটি এলগরিদম নিয়ে আসা যেতে পারে।
অভিজ্ঞতা ২
একজনের ব্লগ থেকে কপি করে অন্য ব্লগে অন্যজনের নামে তা প্রকাশ করা, বা মুদ্রণ মাধ্যমে প্রকাশ করা নতুন কিছু নয়। এই জঘন্য কাজটি অনেকেই করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে অনেকটা দায় পড়ে যে ব্লগে এই কপি করা লেখা পোষ্ট আকারে আসে সেই ব্লগের উপরে বা যে মূদ্রণ মাধ্যমে প্রকাশিত হইয় তার উপরে। যতদূর জানি সচলায়তন এক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানী, ফলে সচলায়তনে আমি অন্তত এই ধরনের প্রবনতা লক্ষ্য করিনি। যাই হোক, এই কপি করা পোষ্ট কিভাবে একজন ব্লগারের স্বকীয়তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে তার একটি উদাহরণ এখন দেইঃ
একদিন আমি নিজের নিক 'সচল জাহিদ' দিয়ে গুগুল সার্চ করছিলাম। নিজের পরিচিত বিভিন্ন পোষ্ট আর কমেন্টের ভীরে হঠাৎ করে 'সোনার বাংলাদেশ' নামক এক ব্লগের লিঙ্কে আমার নাম দেখে যথেষ্ট কৌতুহল হয়ে লিঙ্কটিতে যাই। লক্ষ্য করি যেখানে একটি মন্তব্যে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছেঃ
মন্তব্য পড়ে যেটা বোঝা গেল 'সুদীপ্ত সেন' নামে 'সোনার বাংলাদেশ' ব্লগে একজন ব্লগার 'বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১ ও ২' নামে দুটি ব্লগ লিখেছেন এবং উপরোক্ত মন্তব্যকারীর মতামত হচ্ছে হয় 'সুদীপ্ত সেন' লেখাগুলি আমার (সচল জাহিদ) সচলায়তনের পোষ্ট থেকে কপি করেছেন অথবা আমিই সুদীপ্ত সেন নামে 'সোনার বাংলাদেশ ব্লগে লিখি'। প্রথম সন্দেহটি আমার কাছে তেমন কোন গুরুত্ত্ব বহন করেনা, কিন্তু দ্বিতীয়টি করে কারন ইতিমধ্যে 'সোনার বাংলাদেশ ব্লগ' সম্পর্কে একটি সাম্যক ধারণ আমার হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা 'সচল জাহিদ' নিকে গত প্রায় দুই বছর ধরে ব্লগিং করে পাঠকের কাছে যে পরিচিতি আমার হয়েছে এই ধরনের ঘটনা তার প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে পারে।
আমি আরো আগ্রহী হয়ে সুদীপ্ত সেনের ব্লগে যেয়ে দেখলাম তিনি আমার সচলায়তনে প্রকাশিত 'ধর্ম রাজনীতি না মগজ ধোলাই' শিরোনামের একটি লেখা এবং তার মন্তব্য থেকে হুবুহু নকল করে দুটি পোষ্ট লিখেছেন। সুদীপ্ত সেনের পোষ্ট যার শিরোনাম "বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১" লেখাটির প্রথম প্যারাটি বাদে বাকী সব প্যারাগুলিই আমার উপরোক্ত পোষ্টের সর্বশেষ প্যারা থেকে হুবুহু নকল করা। তার আরেকটি পোষ্ট যার শিরোনাম "বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-২" লেখাটিরও প্রথম প্যারাটি বাদ দিয়ে বাকী সব প্যারাগুলিই আমার উপরোক্ত পোষ্টে ব্লগার "ষষ্ঠ পান্ডব" এর করা মন্তব্য ( মন্তব্য সিরিয়াল ১৩, নং ৩৫) থেকে হুবুহু নকল করা।
আমি বিষয়টি অনুধাবন করে সোনার বাংলাদেশ ব্লগের মডারেটর বরাবর (sonarbangladeshblog@yahoo.com) একটি ইমেইল করি ১২ ডিসেম্বর। ইমেইলটি নিচে দিলামঃ
ইমেইল করার ৬ দিন পর ( আরো ভাল করে বলতে গেলে এই লেখাটি সচলায়তনে পোষ্ট করার ১২ ঘন্টার মধ্যে ) অবশেষে সোনার বাংলাদেশ ব্লগ তার উত্তর দেয়ঃ
dear sir,
we requested mr sudipto to acknowldge/refer ur post
and also advised him not to copy any text from anywhere .
we warned mr sudipto for the first time to refrain from such activities othewise we will ban him in our blog
thank u for ur cooperation
may we take the change to invite u to join our blog pls
sorry for delayed reply
Best regards,
SB Blog Team
পরবর্তীতে সুদীপ্ত সেন তার ব্লগ আপডেট করেন। আপডেটের নমুনা দেখুনঃ
বুয়েটে শিবিরকে বিতাড়িত করেছিলাম যেভাবে-১ পোষ্টটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন 'বুয়েটে শিবির' আর নিচে লিখেছেন,
মুল আইডিয়া, সচলায়নের ব্লগার জাহিদ
মুল আইডিয়া, সচলায়নের ব্লগার ষষ্ট পান্ডব
সূদীপ্ত সেনের এহেন আপডেটের জবাবে সচলায়তনে ব্লগার ষষ্ঠ পান্ডবের মন্তব্য উল্লেখযোগ্যঃ
"তবে ব্যাপারটা হচ্ছে কি তুমি (সচল জাহিদ)বা আমি (ষষ্ঠ পান্ডব) যা লিখেছিলাম সেগুলোতো কোনো ধারনা থেকে লেখা না। সেগুলো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাজাত। কিছু কিছু ঘটনায় আমরা সরাসরি যুক্তও ছিলাম। সুতরাং "মুল আইডিয়া, সচলায়নের ব্লগার জাহিদ" (নিক ভুল করা হয়েছে) বা "মুল আইডিয়া, সচলায়নের ব্লগার ষষ্ট পান্ডব" (নিকের বানান ভুল করা হয়েছে) বললে অপব্যাখ্যা করা হয়। সুদীপ্ত যেটা করেছে সেটা কোন গবেষণাপত্র বা আমাদের লেখার সমালোচনা নয় যে সেখানে আমাদের লেখা কোট করা যাবে। বস্তুতঃ আমাদের লেখা কোট করাও হয়নি, স্রেফ মেরে দেয়া হয়েছে। সুদীপ্ত একটা থার্ড ক্লাস চোর ছাড়া আর কিছুই না।"
আমি ঠিক জানিনা অন্যদের এরকম কোন অভিজ্ঞতা হয়েছে কিনা। আমার কাছে সবচেয়ে ভয়াবহ লেখেছে মূলত ঐ মন্তব্যটি যেখানে অন্য একজন ব্লগার সুদীপ্ত সেনের সাথে আমাকে মেলাতে চেষ্টা করেছেন কিংবা সন্দেহ করেছেন।
উপরোক্ত দুটি ঘটনা সবাইকে জানানোর উদ্দেশ্য মূলত দুটিঃ
একঃ সব ব্লগারদের এই বিষয়ে সাবধানী হবার জন্য। আপনি যে নিকে লিখেন তা দিয়ে মাঝে মাঝে গুগুল সার্চ করে দেখতে পারেন আপনার কোন কিছু অন্য কেউ অন্য কোন ভাবে ব্যবহার করছে কিনা।
দুইঃ এই সমস্যা সমাধানে সব ব্লগগুলোর সমন্বয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কিনা, যেমন নতুন কোন পোষ্ট আগের কোন পোষ্টের ( যে কোন ব্লগের) সাথে উল্লেখযোগ্য অংশ মিলে যায় কিনা তা বের করার জন্য কোন এলগরিদমের সাহায্য নেয়া এবং তা সব ব্লগেই সাধারণ ভাবে ব্যবহার করা।
ব্লগারদের স্বকীয়তাহানির আরো কোন ঘটনা জানা থাকলে কিংবা স্বকীয়তা রক্ষায় কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সেই বিষয়ে কোন মতামত থাকলে তা এই পোষ্টে মন্তব্য প্রকাশ করার অনুরোধ জ্ঞাপণ করছি।