সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। নতুন এই বিমানবন্দরের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ এবং এটির সংলগ্ন ‘বঙ্গবন্ধু নগরী’ গড়ে তোলা হবে। বেশ কিছু প্রাথমিক স্থান পর্যালোচনা করে সরকার নীতিগত ভাবে মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার আড়িয়াল বিলে এই প্রকল্পটি নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে দু'টি বিষয় আলোচনার দাবী রাখেঃ
একঃ বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মান কতটা যৌক্তিক।
দুইঃ নতুন বিমানবন্দরের নির্মান স্থান হিসেবে আড়িয়াল বিলকে বেছে নেয়া সমীচিন কিনা বা আদৌ বৈধ কিনা।
প্রথম প্রশ্নটির উত্তর দেবার জন্য বিশদ অর্থনৈতিক বিশ্লেষন প্রয়োজন, তবে আপাতদৃষ্টিতে এই প্রকল্পকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বলেই আমি অভিমত প্রদান করব। যেখানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকেই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরো বেশি উন্নীতকরণ করা উচিৎ বা বাংলাদেশ বিমানকে একটি শক্তিশালী বেসামরিক বিমান সংস্থায় পরিনত করা অধিক জরুরী সেখানে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেসামরিক বিমান খাতে বাংলাদেশকে কোন সমৃদ্ধি বয়ে আনবে তা যথেষ্ট আলোচনার দাবী রাখে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটির বিশদ উত্তর খোঁজার প্রয়াস থাকবে। তার আগে কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় জানা যাকঃ
বিল মূলত একধরনের বড় নিচু জলাভূমি যেখানে আশে পাশের এলাকা থেকে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি বিভিন্ন ছোট ছোট নালার মাধ্যমে প্রবেশ করে। বর্ষা মৌসুমে যখন উচ্চ প্রবাহের ফলে নদীর পক্ষে বৃষ্টির পানি বহন করা সম্ভব হয়না তখন সেই অতিরিক্ত প্রবাহ বিলে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারনত শুষ্ক মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে চাষাবাদ হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মৎস ও অন্যান্ন জলজ প্রানীদের একটি অবাধ বাস্তসংস্থানে পরিনত হয়। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রেখে এই বিলগুলি ভূগর্ভস্থ পানির যোগান নিশ্চিত করে। মেঘমা-সুরমা, গঙ্গা-পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদীবিধৌত পলল ভুমি বাংলাদেশ বিল একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রাকৃতিক জলাধার যা একাধারে অর্থনীতি, বাস্তসংস্থান, ও দেশের পানিসম্পদের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে সম্পর্কিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে[১] বাংলাদেশে গুরুত্ত্বপূর্ন কয়েকটি বিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আড়িয়াল বিল। ঢাকার দক্ষিণে গঙ্গা ও ধলেশ্বরীর মধ্যবর্তী প্রায় ৭২৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে এই বিল বিস্তৃত [২]। এই বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছের পাশাপাশি আমন ধানের চাষ হয়, অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমেও রবি শষ্যের ফলন হয়। প্রস্তাবিত ( বা অনুমোদিত) নতুন বিমানবন্দর প্রকল্প এই বিলে বাস্তবায়িত হলে তার প্রভাব পরিবেশের উপর কতটা পড়বে তা নির্ধারণের জন্য দরকার এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (EIA)। কিন্তু সেটিরও পূর্বে জানা উচিৎ আদৌ এই বিলে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড করা বৈধ কিনা।
পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা'র ( WARPO) তত্ত্বাবিধানে ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি ( NWPo) প্রনীত হয়। জাতীয় পানি নীতির আর্টিকেল ৪.১৩ এর বিষয় হচ্ছে 'হাওর বাওর বিল সংরক্ষণ' এর উপর। সেখানে স্বীকার করা হয়েছে যে বাংলাদেশের হাওর-বাওর-বিল এই অঞ্চলে তাদের স্বকীয়তা নিয়ে অবস্থান করছে এবং এদের রয়েছে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যমান। সুতরাং এই সমস্ত জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় পানি নীতিতে নির্দেশাবলী রয়েছে যা কিছুটা নিম্নরূপ[৩]
ক) জলজ পরিবেশ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে জাতীয় জলাভূমি সমুহ যেমন বিল, হাওর এবং বাওর সমুহকে সংরক্ষণ করা হবে।
খ) শুধুমাত্র সেসকল পানিসম্পদ প্রকল্পই হাতে নেয়া হবে যা কিনা এই জলাভূমিসমুহের জলজ বাস্তুসংস্থানের জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করবেনা।
অর্থাৎ জাতীয় পানি নীতিকে মেনে নিয়ে আড়িয়াল নিলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মান ঠিক পরিবেশগত ভাবে সিদ্ধ নয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন তিনিই কিন্তু জাতীয় পানি নীতি স্বাক্ষর করেছিলেন যেখানে তিনি লিখেছিলেনঃ
আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নীতি অতিসত্তর বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিচ্ছি (I call upon all concerned to implement this Policy in right earnest )
এবারে আসি খসড়া জাতীয় পানি আইন ২০১০ এর আলোকে এই প্রকল্পের বৈধতা প্রসংগে। এই আইনের[৪] পরিচ্ছেদ ১২ ( নদ-নদী, প্লাবন ভূমি, জলাধার সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পূনরুদ্ধার ও ভরাট নিয়ন্ত্রণ) এর আর্টিকেল ৯১ (জলাশয় ও প্লাবণভূমি ভরাট নিয়ন্ত্রণ) এ উল্লেখ আছেঃ
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের যথাযথ অনুমিত ব্যাতিরেকে সরকার কতৃক প্রকাশিত সর্বশেষ ভূমি জরিপ নকশায় চিহ্নিত বিল, হাওর, বাওড়, প্লাবন ভূমি অথবা জলাশয় সম্পূর্ন বা অংশবিশেষ ভরাট করা যাবেনা (১ ক)
দেশের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, বিল, হাওর-বাওড়, ঝিল, হ্রদ, প্লাবনভুমি, জলাশয়ের ‘‘মৎস্য সম্পর্কিত জৈবিক গুরুত্বপূর্ন এলাকাসমূহ" যাহা মৎস্য গবেষণা অথবা সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কতৃক চিহ্নিত করা হয়েছে সেই এলাকায় কোন প্রকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন, মাট ভরাট ও নিয়ন্ত্রনের পূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালইয়ের অনুমিত গ্রহণ করিতে হইবে(১ গ)
প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট জলাশয়ের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখিতে হইবে(২ খ)
অর্থাৎ জাতীয় পানি নীতি(১৯৯৯) কিংবা জাতীয় পানি আইন (২০১০) কোনটার আলোকেই বর্তমান প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মান বৈধতা পাবার কথা নয়। তাই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অনুরোধ থাকবে জাতীয় পানি নীতি মেনে নিয়ে আড়িয়াল বিলের মত একটি গুরুত্ত্বপূর্ন জলাভূমিকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তটি সরকার পূনর্বিবেচনা করবেন।
তথ্যসুত্রেঃ
[১] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডঃ বিল
[২] আড়িয়াল বিলঃ বাংলাপিডিয়া
[৩] জাতীয় পানি নীতি
[৪] খসড়া জাতীয় পানি আইন ২০১০
দুইঃ নতুন বিমানবন্দরের নির্মান স্থান হিসেবে আড়িয়াল বিলকে বেছে নেয়া সমীচিন কিনা বা আদৌ বৈধ কিনা।
প্রথম প্রশ্নটির উত্তর দেবার জন্য বিশদ অর্থনৈতিক বিশ্লেষন প্রয়োজন, তবে আপাতদৃষ্টিতে এই প্রকল্পকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বলেই আমি অভিমত প্রদান করব। যেখানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকেই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরো বেশি উন্নীতকরণ করা উচিৎ বা বাংলাদেশ বিমানকে একটি শক্তিশালী বেসামরিক বিমান সংস্থায় পরিনত করা অধিক জরুরী সেখানে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেসামরিক বিমান খাতে বাংলাদেশকে কোন সমৃদ্ধি বয়ে আনবে তা যথেষ্ট আলোচনার দাবী রাখে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটির বিশদ উত্তর খোঁজার প্রয়াস থাকবে। তার আগে কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় জানা যাকঃ
বিল মূলত একধরনের বড় নিচু জলাভূমি যেখানে আশে পাশের এলাকা থেকে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি বিভিন্ন ছোট ছোট নালার মাধ্যমে প্রবেশ করে। বর্ষা মৌসুমে যখন উচ্চ প্রবাহের ফলে নদীর পক্ষে বৃষ্টির পানি বহন করা সম্ভব হয়না তখন সেই অতিরিক্ত প্রবাহ বিলে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারনত শুষ্ক মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে চাষাবাদ হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মৎস ও অন্যান্ন জলজ প্রানীদের একটি অবাধ বাস্তসংস্থানে পরিনত হয়। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রেখে এই বিলগুলি ভূগর্ভস্থ পানির যোগান নিশ্চিত করে। মেঘমা-সুরমা, গঙ্গা-পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদীবিধৌত পলল ভুমি বাংলাদেশ বিল একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রাকৃতিক জলাধার যা একাধারে অর্থনীতি, বাস্তসংস্থান, ও দেশের পানিসম্পদের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে সম্পর্কিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে[১] বাংলাদেশে গুরুত্ত্বপূর্ন কয়েকটি বিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আড়িয়াল বিল। ঢাকার দক্ষিণে গঙ্গা ও ধলেশ্বরীর মধ্যবর্তী প্রায় ৭২৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে এই বিল বিস্তৃত [২]। এই বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছের পাশাপাশি আমন ধানের চাষ হয়, অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমেও রবি শষ্যের ফলন হয়। প্রস্তাবিত ( বা অনুমোদিত) নতুন বিমানবন্দর প্রকল্প এই বিলে বাস্তবায়িত হলে তার প্রভাব পরিবেশের উপর কতটা পড়বে তা নির্ধারণের জন্য দরকার এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (EIA)। কিন্তু সেটিরও পূর্বে জানা উচিৎ আদৌ এই বিলে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড করা বৈধ কিনা।
পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা'র ( WARPO) তত্ত্বাবিধানে ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি ( NWPo) প্রনীত হয়। জাতীয় পানি নীতির আর্টিকেল ৪.১৩ এর বিষয় হচ্ছে 'হাওর বাওর বিল সংরক্ষণ' এর উপর। সেখানে স্বীকার করা হয়েছে যে বাংলাদেশের হাওর-বাওর-বিল এই অঞ্চলে তাদের স্বকীয়তা নিয়ে অবস্থান করছে এবং এদের রয়েছে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যমান। সুতরাং এই সমস্ত জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় পানি নীতিতে নির্দেশাবলী রয়েছে যা কিছুটা নিম্নরূপ[৩]
ক) জলজ পরিবেশ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে জাতীয় জলাভূমি সমুহ যেমন বিল, হাওর এবং বাওর সমুহকে সংরক্ষণ করা হবে।
খ) শুধুমাত্র সেসকল পানিসম্পদ প্রকল্পই হাতে নেয়া হবে যা কিনা এই জলাভূমিসমুহের জলজ বাস্তুসংস্থানের জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করবেনা।
অর্থাৎ জাতীয় পানি নীতিকে মেনে নিয়ে আড়িয়াল নিলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মান ঠিক পরিবেশগত ভাবে সিদ্ধ নয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন তিনিই কিন্তু জাতীয় পানি নীতি স্বাক্ষর করেছিলেন যেখানে তিনি লিখেছিলেনঃ
আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নীতি অতিসত্তর বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিচ্ছি (I call upon all concerned to implement this Policy in right earnest )
এবারে আসি খসড়া জাতীয় পানি আইন ২০১০ এর আলোকে এই প্রকল্পের বৈধতা প্রসংগে। এই আইনের[৪] পরিচ্ছেদ ১২ ( নদ-নদী, প্লাবন ভূমি, জলাধার সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পূনরুদ্ধার ও ভরাট নিয়ন্ত্রণ) এর আর্টিকেল ৯১ (জলাশয় ও প্লাবণভূমি ভরাট নিয়ন্ত্রণ) এ উল্লেখ আছেঃ
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের যথাযথ অনুমিত ব্যাতিরেকে সরকার কতৃক প্রকাশিত সর্বশেষ ভূমি জরিপ নকশায় চিহ্নিত বিল, হাওর, বাওড়, প্লাবন ভূমি অথবা জলাশয় সম্পূর্ন বা অংশবিশেষ ভরাট করা যাবেনা (১ ক)
দেশের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, বিল, হাওর-বাওড়, ঝিল, হ্রদ, প্লাবনভুমি, জলাশয়ের ‘‘মৎস্য সম্পর্কিত জৈবিক গুরুত্বপূর্ন এলাকাসমূহ" যাহা মৎস্য গবেষণা অথবা সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কতৃক চিহ্নিত করা হয়েছে সেই এলাকায় কোন প্রকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন, মাট ভরাট ও নিয়ন্ত্রনের পূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রণালইয়ের অনুমিত গ্রহণ করিতে হইবে(১ গ)
প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট জলাশয়ের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখিতে হইবে(২ খ)
অর্থাৎ জাতীয় পানি নীতি(১৯৯৯) কিংবা জাতীয় পানি আইন (২০১০) কোনটার আলোকেই বর্তমান প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর নির্মান বৈধতা পাবার কথা নয়। তাই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অনুরোধ থাকবে জাতীয় পানি নীতি মেনে নিয়ে আড়িয়াল বিলের মত একটি গুরুত্ত্বপূর্ন জলাভূমিকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তটি সরকার পূনর্বিবেচনা করবেন।
তথ্যসুত্রেঃ
[১] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডঃ বিল
[২] আড়িয়াল বিলঃ বাংলাপিডিয়া
[৩] জাতীয় পানি নীতি
[৪] খসড়া জাতীয় পানি আইন ২০১০