২৭ মার্চ ২০০৯ এর প্রথম আলোতে পড়লাম জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করাতে বলেছেন,
“এটা আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন নয়৷ আপনারা শত চেষ্টা করেল আমার মুখ থেকে একটা কথাও বের করতে পারবেননা”
তিন ঢাকাইয়া কুকুরের বিয়ে খাওয়া
প্রায় একই রকম দেখতে তিন ঢাকাইয়া কুকুর গিয়েছে ঢাকার বাইরে এক গ্রামে বিয়ে খেতে। বাড়ির উঠানে সামিয়ানা টাঙিয়ে বাবুর্চি রান্না বান্না করছে। দলের নেতা কুকুর সিদ্ধান্ত নিল যে একসাথে না যেয়ে একজন একজন করে যাবে। নেতাজীর সিদ্ধান্ত মতে প্রথম কুকুর সামিয়ানার নিচ দিয়ে একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করল। বাবুর্চি রান্না করছিলেন এবং তার নজরে পড়ায় যথারীতি লাঠির প্রহার দিয়ে বিদেয় করলেন। বেচারা কেও কেও করতে করতে ফিরে আসল। বাকী দুই কুকুর জিজ্ঞেস করে,
‘কিরে কেমন খাইলি?’
প্রহারের কথাত আর জনসম্মুখে বলা যায়না, তাই সে ভাব নিয়ে মিথ্যে বলে,
‘উস্তাদ গেচি আর খাওয়াইচে’
এটা শুনেত বাকী দুই কুকুরের মুখ দিয়ে লোল পড়ে যাচ্ছে।লোভ সামলাতে না পেরে দ্বিতীয় কুত্তা থুক্কু কুকুর বেশ আয়েশ করে একই জায়গা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল। বাবুর্চি তখন পোলাওয়ের চালে গরম পানি ঢালছিলেন। তিনি ভাবলেন মার খাবার পরেও আবার আসছে ! রাগের মাথায় হাতের গরম পানি ঢেলে দিলেন দ্বিতীয় কুত্তার গায়ে এবং যথারীতি কেও কেও করতে করতে সে ফিরে আসল। বাকী দুই কুকুর জিজ্ঞেস করে।
‘কিরে কেমন খাইলি?’
‘কেলা গরম গরম খাইচি’, ঝটপট জবাব দেয়।
এইভাবে দুই কুকুরের সাফল্যে দলের নেতার আর লোভ সামলানের উপায় থাকেনা। সে যথারীতি তার দুই শাগরেদের পথা অনুসরণ করে ভেতরে ঢুকে। বাবুর্চি এইবারে তার রাগ আর সামলাতে পারেনা। লোকজন দিয়ে সেটাকে ধরে বেঁধে ফেলে এবং অনেক সময় ধরে মনের ইচ্ছা মত উত্তম মধ্যম দিয়ে পরে ছেড়ে দেয়। এরকম যুষ্ঠিমধু খাওয়ার পরে তার হাঁটার শক্তিটুকুও থাকেনা তাই বেশ হেলে ঢুলে সে ফিরে আসে দুই শাগরেদের কাছে।শাগরেদরা জিজ্ঞেস করে,
‘উস্তাদ কেমন খাইলেন?’
দলনেতার গর্বিত উত্তর,
‘আবার জিগায়, ছাড়বারই চায়না!’
বিঃদ্রঃ কৌতুকটি সংগৃহীত